ডিগ্রি ভর্তি ও আবেদনের যোগ্যতা

Bismillah

ডিগ্রি ভর্তি ও আবেদনের যোগ্যতা 

নিম্নোক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২০২৩ সালের ডিগ্রি পাস কোর্স ১ম বর্ষে ভর্তি হতে পারবে।

  • বাংলাদেশে স্বীকৃত যে কোন শিক্ষা বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শাখা থেকে ২০১৮/২০১৯/২০২০/২০২১ সালের SSC ও সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.০ পেতে হবে।
  • ২০২০/২০২১/২০২২ সালের HSC ও সমমান পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয় সহ ন্যূনতম জিপিএ ২.০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।



ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায়

আপনি যদি পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করতে চান তাহলে ডিগ্রি আপনার জন্য। আর আপনি যদি নিয়মিত ক্লাস করতে না পারেন তাহলে আপনি ডিগ্রী পড়তে পারেন। তাহলে জেনে নেয়া যাক ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায়?

আপনি ডিগ্রী পড়ে মাস্টার্সে নিজের মনের মত সাবজেক্ট নিয়ে মাস্টার সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
ডিগ্রী পড়ে এলবি অথবা এমবিএ করা যায়। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএতেও ভর্তি হতে পারবেন। আর যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আপনি মাস্টার্স করতে পারবেন।

ডিগ্রি পড়লে তাদের গ্রাজুয়েট হয়ে আর চাকরির চিন্তা করতে হয় না কারণ তারা ডিগ্রী পরা অবস্থায় কোন না কোন চাকরি করার সুযোগ পেয়ে থাকে। তারপর কাজের দক্ষতার জন্য তারা বিভিন্ন ভালো পোস্টে চাকরি পেয়ে থাকে। 
অনার্স ভালো না ডিগ্রী ভালো

অনার্স ও ডিগ্রির মধ্যে অনার্সের সেরা আর কেন সেটা আমি সেটা বলবো। তো অনার্স ও ডিগ্রির মধ্যে পার্থক্য কি। অনার্স হচ্ছে চার বছর মেয়াদী কোর্স আর ডিগ্রি হচ্ছে তিন বছর মেয়াদী কোর্স। আপনি যদি অনার্স পড়েন তাহলে আপনার অনার্স শেষ করতে চার বছর সময় লাগবে আর যদি ডিগ্রী করেন তাহলে শেষ করতে তিন বছর সময় লাগবে। আর অনার্স করলে মাস্টার্স করতে সময় লাগে এক বছর আর ডিগ্রী করলে মাস্টার্স করতে সময় লাগে দুই বছর। এর মানে এখানে কিন্তু জিনিসটা সমান হয়ে গেল।

আপনি ওখানে অনার্স পড়ে ৪ বছর পর অনার্স পড়ে ১ বছর মাস্টার্স করে আপনার সময় লাগলো পাঁচ বছর। আর ডিগ্রীর ক্ষেত্রে আপনি তিন বছর ডিগ্রী পড়ার পর দুই বছর মাস্টার্স করলেন সব মিলে পাঁচ বছরই হলো। তবে অনার্স করে আপনি সরাসরি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু ডিগ্রী পরে আপনাকে দুই বছর মাস্টার্স করার পর বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। তাই এই জায়গায় ডিগ্রি পিছিয়ে আছে।

এদিকে অনার্স একটা বিষয়ের উপর পড়া হয়। কিন্তু ডিগ্রীর ক্ষেত্রে সব বিষয় পড়তে হয় যার ফলে যারা অনার্স বিষয়ে পড়ে তারা একটা বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে ওঠে। কিন্তু ডিগ্রি নিয়ে যারা পড়ে তারা এটা হতে পারে না কারণ তাদের অনেকগুলো বিষয় পড়তে হয়। অনার্সে উপবৃত্তি দেয় না কিন্তু ডিগ্রী তো উপবৃত্তি দেয়। আর অনার্স হচ্ছে স্নাতক সম্মান আার ডিগ্রী হচ্ছে শুধু স্নাতক বলা হবে। কিন্তু আপনি ডিগ্রী এবং অনার্স এর মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন। অনার্স পড়লে কিন্তু আপনার ভালো পয়েন্ট লাগে কিন্তু ডিগ্রি পড়লে তেমন ভালো পয়েন্ট লাগে না। আপনি অনার্স নিয়ে চাকরি করতে পারবেন। কিন্তু ডিগ্রি নিয়ে সেক্ষেত্রে চাকরি নিতে পারবেন না। কারণ ডিগ্রী পড়ে আপনি মাস্টার্স করলে অনার্সের সমান হতে পারবেন।

অনার্স করার পর যদি একজন মাস্টার্স করে তাহলে সে অনেক এগিয়ে যায়। যদি আমরা সকল দিক বিবেচনা করি তাহলে অনার্স কেই সেরা ধরতে পারি। তবে ডিগ্রীকে ছোট মনে করবেন না ডিগ্রিতে সরকার ও বেসরকারি পদে অসংখ্য চাকরী রয়েছে। এই দিক দিয়ে আপনারা নিজেকে নিচু মনে করবেন না। তবে অনার্সের অগ্রাধিকার বিশেষ করে বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বেশি। কারণ তারা মারাত্মক বা স্নাতক সম্মান এগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

তো আপনি চেষ্টা করবেন আপনি ভালো একটা পয়েন্ট থাকে তাহলে অনার্স করেন। তবে আপনি যদি ডিগ্রী করেন তাতেও কোন সমস্যা নেই আপনি ডিগ্রী করার পর দুই বছর মাস্টার্স করলে তা অনার্সের সমান হয়ে বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। বাংলাদেশে এমন অসংখ্য শিক্ষার্থী রয়েছে যারা ডিগ্রি পড়ার পর বিসিএস ক্যাডার হয়েছে। যারা ভালো একটা পজিশনে আছে। তাই ডিগ্রিকে শেষ ছোট করে দেখবেন না।

ডিগ্রী পাস করার পর কি হওয়া যায়
তো প্রথমত আপনি ডিগ্রী পাস করে কি কি করতে পারবেন,

অনেকে ডিগ্রী পাস করা মানে বা ডিগ্রী ভর্তি হওয়া মানেই সমাজে সবচেয়ে নিচু শিক্ষার্থী মনে করে নিজেকে। তবে ডিগ্রী পড়ে চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরাসরি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হবে না। শুধু আপনার সার্টিফিকেট গুলো দেখবেন। তো আপনি ডিগ্রী পাস করার পরে যেটা করতে পারবেন সেটা হচ্ছে বি এড, কম্পিউটার কোর্স, আপনি বিভিন্ন কোর্স করতে পারবেন। করার পরে আপনি নির্দিষ্ট বিষয় ছাড়াও চাকরির বিভিন্ন পরীক্ষায় আপনি আবেদন করতে পারবেন। তারপরে হচ্ছে সিএ বা এলএম করা যাবে। তার পরবর্তীতে আপনি মাস্টার প্রিলিমিলিতে ভর্তি হতে পারবেন।

শেষ মন্তব্য

আশা করি আপনারা ডিগ্রী বা অনার্সের মধ্য পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন। এবং ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায় তাও জানতে পেরেছেন। তাই কোন বিষয় ছোট মনে না করে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান। যে বিষয়ে পড়ুন না কেন আপনি যদি একটা ভালো রেজাল্ট করতে পারেন তাহলে আপনি যে কোন চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।



আপনি কী করে ক্যারিয়ার এবং একাডেমিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ করতে চান? আপনি নিরাপদ, তাড়াতাড়ি এবং খরচহীন সেবার প্রয়োজন আছে? তাহলে স্টুডেন্ট কেয়ার আপনার জন্য সেরা নির্বাচন। আমরা আপনাদের জন্য কর্ম আবেদন সহায়তা, টিকেট এবং পরীক্ষার বুকিং, সিভি তৈরি, ডাটা এন্ট্রি, প্রিন্ট এবং স্ক্যানিং, ইমেল ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য পরিষেবা সরবরাহ করছি। আমাদের দ্রুত, নিরাপদ এবং সস্তায় পরিষেবা আপনার জীবনকে সহজ করার জন্য উদ্ভাবিত করা হয়েছে। আমাদের সেবা সম্পর্কে আরও জানতে আজই যোগাযোগ করুন। স্টুডেন্ট কেয়ার ওয়েবসাইট: https://studentcare3123.business.site/?m=true

Comments

Popular posts from this blog

পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2024 Police Constable Job Circular

Bangladesh Army Job Circular 2024-বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্কুলার ২০২৪

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ (৯১ BAFA কোর্স)